দৈনিক পড়ার রুটিন, রাতে পড়ার রুটিন


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

অবশ্যই সম্পুর্ণ লেখাটি পড়বেন,
সম্পুর্ণ লেখাটি পড়লে বুঝতে সুবিধা হবে।


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম  

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি সবাই আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। আপনাদের অনেকেরই পড়ার সময় অনেক সমস্যা হয় এই সমস্যার কারণ হলো। রুটিন না করে পড়া।রুটিন করে পড়লে পড়া সহজ ও সুন্দর হবে।এবং আমরা যারা নিয়মিত ছাত্র আমাদের সবারই রুটিন মাফিক পড়া উচিত। তাহলেই আমাদের পড়া সহজ ও সুন্দর হয়ে যাবে। এবং নিয়মিত পড়াশোনা করা এবংপড়ার প্রতি আগ্রহ জাগবে। রুটিন মাফিক পড়াশােনা না করলে মনে হয় আমি ভালাে করতে পারবাে না ইত্যাদি নানা জল্পনা কল্পনা। আজ আমি তােমাদের এই ভুল ধারনাগুলাে ভাঙ্গাবাে। প্রত্যহ রুটিন মাফিক কাজ করা রােবট ব্যতিত কারাে পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করাে না। আজকে আমরা দেখব কিভাবে নিজেই নিজের রুটিন তৈরি করব। 

সময় নির্বাচন, 

প্রথমে তোমার দিন ও রাতে কোন কোন সময় পড়তে ভালো লাগে সেই সময় গুলো নোট করে নিতে হবে।এবং এই অনুজায়ী রুটিন বানাতে হবে।আমি মনে করি সারাদিন কষ্ট করে যা পড়বেন এবং সকালে ফজরের পরে মাএ এক ঘন্টা পড়বেন সেটাই আপনাদের বেশি মনে থাকবে। কারণ কারোর  ভোরের পড়া সহজে  মুখস্ত হয়। আবার কারোর রাতের। এইজন্য সবার রুটিন আলাদা আলাদা হবে, অবশ্যই এটাই স্বাভাবিক। এই জন্য কেউ কারো রুটিন ফলো করা যাবে না।নিজেরাই নিজের রুটিন তৈরি করতে হবে।



আসুন দেখে নেই কিভাবে রুটিন তৈরি করতে হবে,

সময় নির্ধারণ হয়ে গেলে এবার রুটিন বানানাের পালা। রুটিন বানানাের প্রথম দিনে মাত্র একটি সাবজেক্ট এড করবা। এভাবে যতটি সাবজেক্ট আছে ততদিনে একটি একটি করে পূর্ণাংগ রুটিন নিজেই বানাবা। যেমন১০টি সাবজেক্ট থাকলে ৭ দিন পর পুর্ণাংগ একটি রুটিন তৈরি করবে।রুটিনে পড়ার সময় সাবজেক্ট গুলা ভাগ করে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পড়ালেখা করতে হবে। এবং পড়ার সময় কোনো ইলেকট্রনিক জিনিস রাখা যাবে না। যেমন মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এগুলোই কাছে রাখা যাবে না। কারণ এগুলোয় কাছে থাকলে আপনার পড়ার মন বসবে না। তাই পড়ার টেবিল থেকে এগুলি দূরে রাখবেন।

         সকালে পড়ার রুটিন, 

সকালে ফজরের নামাজ পড়ে অন্তত এক ঘন্টা ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করতে হবে। কারণ সকালে নিস্তব্ধ পরিবেশে খুব সহজেই আপনার ব্রেন এর ভেতর ঢুকে যায়।এবং তাড়াতাড়ি পড়া গুলো মুখস্থ হয়ে যায়।

              বিকালে পড়ার রুটিন 

স্কুল বা কলেজ থেকে ফিরে খাওয়া-দাওয়া শেষে।পড়তে বসবেন তারপর এক ঘন্টা ঘুমাবেন ।ঘুম থেকে উঠে পরে সময় থাকলে আবার পড়তে বসবেন। এবং পড়তে মন না চাইলে একটু ঘোরাফেরা করবেন । 

                রাতে পড়ার রুটিন,

রাতে অন্তত ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত  রুটিন মেপে পড়া উচিত। এরমধ্যে এশার নামাজ পড়ার পর রাতের খাবার খেয়ে আবার পড়তে বসবেন। এবং তুলনামূলক জটিল পড়া রাতে ঘুমানোর আগে পড়তে পারবেন। কারণ ঘুমানোর আগের পড়া বেশিক্ষণ মনে থাকে। 

    নিজের রুটিন যাচাই করবেন,

দৈনিক কী পরিমাণ রুটিন ফলো করেছেন সেই অনুযায়ী রুটিন তৈরি করুন। এবং নিজেই নিজের রুটিন যাচাই করুন। ভালো পড়ার কোন বিকল্প নেই। 


 


বিঃদ্রঃ এই ব্লগে বিভিন্ন কনটেন্ট,ভিডিও ও ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইট/বই থেকে নেওয়া হতে পারে।আমরা আপনার মূল্যবান কনটেন্ট,অন্যের উপকারের লক্ষে শেয়ার করে থাকি।তবে আপনার যদি কোনও আপত্তি থাকে,তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ করুন।আপনার কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হবে।

0 Response to "দৈনিক পড়ার রুটিন, রাতে পড়ার রুটিন "

Post a Comment

Contact Form

Name

Email *

Message *